April 27, 2024, 11:27 am
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সামনে আদালত বর্জন কর্মসূচি পালনকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, আদালত বর্জন কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়। ১৮ কোটি মানুষের মধ্যে আমরা মনে করি দেশের আইনের শাসন, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি আমাদের যে প্রতিশ্রুতি তা রক্ষা করার জন্য এবং ভোটাধিকারের জন্য ও একতরফা নির্বাচনের বিরুদ্ধে আইনজীবীরা স্বোচ্চার। সেটা প্রতিবাদ হিসেবে আজ আমরা আদালত বর্জন কর্মসূচি পালন করছি।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আদালত বর্জন কর্মসূচি পালন করে বিএনপি ও জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা। এদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কয়েকশ সরকার বিরোধী আইনজীবী আদালত বর্জন কর্মসূচি পালন করেন। তারা আইনজীবীদের মধ্যে আদালত বর্জনের দাবিতে লিফলেটও বিতরণ করেন।
বিএনপির আইন সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, সারাদেশে বিচারের নামে যে অবিচার-প্রহসন হচ্ছে তার প্রতিবাদে আমরা সকাল ৯টা থেকে আদালত বর্জন কর্মসূচি শুরু করেছি। দেশের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিচারের নামে যে অবিচার হচ্ছে এসব অন্যায়ের প্রতিবাদে আমরা আদালত বর্জন কর্মসূচি পালন করছি।
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, বাংলাদেশে ন্যায় বিচার নেই। সরকারের কথায় তা স্পষ্ট হয়ে গেছে নির্বাহী বিভাগ বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করে। এ জন্য বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। তার কারণে প্রায় তিন মাসে বিএনপিসহ বিরোধী দলের ১ হাজার ৭০০ নেতাকর্মীকে কারাদণ্ড দিয়েছে।
আদালত বর্জন কর্মসূচিতে অংশ নেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী, বিএনপির আইন সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সুপ্রিম কোর্ট বারের অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ, ইউনাইটেড লইয়ার ফ্রন্টেরে (ইউএলএফ) কো-কনভেনর সিনিয়র অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন আহমেদ ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ শতাধিক আইনজীবী।
এর আগে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম আগামী ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে আপিল বিভাগ, হাইকোর্ট বিভাগসহ সব আদালত বর্জনের ঘোষণা দেয়।